রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পেছালো

হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছরের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2022, 10:51 AM
Updated : 11 Oct 2022, 10:51 AM

সাক্ষী না আসায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, মঙ্গলবার রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৪ আসামিকে আদালতে আনা হয়।

সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে উপস্থিত থাকতে বাদীসহ সাত জনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুপুর ২টা পর্যন্ত মামলার বাদীসহ কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থিত হননি। এতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে পরবর্তী দিন ধার্য করবেন বলে জানান ফরিদুল।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার ১-ইস্ট লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ৪৮ বছর বয়সী রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী।

মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Also Read: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিচার শুরু

Also Read: মুহিবুল্লাহ হত্যার অভিযোগপত্রে ২৯ রোহিঙ্গা আসামি

Also Read: কানাডার উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়ল মুহিবুল্লাহর পরিবার

Also Read: মুহিবুল্লাহ হত্যা: রোহিঙ্গাদের ফেরার স্বপ্নে রক্তের ছোপ

দীর্ঘ সাড়ে আট মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ও ঠিকানা সাক্ষীর তালিকায় রয়েছে।

মুহিবুল্লাহ ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নামের রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

বেশ কয়েকবছর আগে জীবন বাঁচাতে নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসে সপরিবারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা হন মুহিবুল্লাহ। সেখানেই গড়ে তোলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ)।

বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ জন সদস্য কানাডায় বসবাস করছেন। তবে মামলার বাদী মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বর্তমানে কড়া নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই অবস্থান করছেন।