উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ত্রসহ ৪ ‘আরসা’ সদস্য আটক

বালুখালী ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এপিবিএনের সদস্যদের গোলাগুলির পর কুতুপালং ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2023, 10:39 AM
Updated : 28 April 2023, 10:39 AM

কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির থেকে অস্ত্র, গুলি, ওয়াকিটকিসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে, যারা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’র সদস্য বলে জানিয়েছে এপিবিএন। 

শুক্রবার বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ছৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান, শুক্রবার সকালে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-ব্লকে জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে ২ নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। 

আটকরা হলেন- উপজেলার লম্বাশিয়া ২-ইস্ট নম্বর ক্যাম্পের বি-ডব্লিউ সাব-ব্লকের বাসিন্দ মৃত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মো. জোবায়ের (২০), কুতুপালং ৬ নম্বর আশ্রয় শিবিরের ডি-৮ সাব-ব্লকের বাসিন্দা মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৫) ও একই ক্যাম্পের বাসিন্দা জোবায়ের আহম্মেদের স্ত্রী মোসা বিবি (১৬) এবং কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকের বাসিন্দা মৃত ছালেহ আহম্মেদের স্ত্রী জমিলা বেগম (৪৮)। 

এডিআইজি ছৈয়দ হারুন অর রশীদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বালুখালী ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের জি-ব্লকে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিনসহ ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত অপরাধ সংগঠনের জন্য অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন-র একটি দল অভিযান চালায়। 

“ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে দুষ্কৃতকারীরা। এসময় আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুষ্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়।” 

পরে ঘটনায় জড়িতদের আটকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কুতুপালং ৫ নম্বর ও ৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এপিবিএন সদস্যরা অভিযান চালায়। 

এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, “এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের সি-ব্লকে জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে আরসা সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিনসহ তার সহযোগীরা অবস্থানের খবর পায় এপিবিএন সদস্যরা। 

“এতে উপস্থিতি টের পেয়ে ছমিউদ্দিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘরটিতে অবস্থানকারী দুই নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. জোবায়েরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। 

"এ সময় ঘরটি তল্লাশী করে পাওয়া যায় দেশীয় তৈরি চারটি বন্দুক, রাইফেলের ৩০টি গুলি, পিস্তলের ২৭টি গুলি, শর্টগানের পাঁচটি কার্তুজ, তিনটি খালি ম্যাগজিন, চারটি ওয়াকিটকি, একটি বড় চাকু ও পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট।" 

তিনি আরও জানান, আটকরা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা'র সদস্য। তারা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে জড়ো হয়েছিল। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।