২০১৪ সালে রবিউলকে তার নানার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি হত্যার করে আসামিরা।
Published : 09 Nov 2023, 02:44 PM
লক্ষ্মীপুরে নয় বছর আগে এক স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম বৃহস্পতিবার এক আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান ওরফে কালা মাসুদ (৩২), দিঘলী ইউনিয়নের উত্তর জামিরতলী গ্রামের নুর মোহাম্মদ লিটন (৩৮), গোবিন্দখিল গ্রামের শাহরিয়ার রাশেদ ওরফে লন্ডনী রাশেদ (৩৩), চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ (৩৫), পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সাদ্দাম (৩১) ও একই এলাকার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম ওরফে বিড়ি সাদ্দাম (৩১)। তাদের মধ্যে ইলিয়াস আদালতে উপস্থিত ছিলেন; বাকিরা পলাতক।
রায়ে যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি তাদের ছয়জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলার আরেক আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন জানান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা রবিউল আউয়াল শিমুলকে (১৪) তার নানার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
এরপর চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে তারা পালিয়ে যায়।
ওই বছরের ৫ মে এ ঘটনায় রবিউলের মামা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলাটি প্রথমে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১০ অগাস্ট চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে অসন্তুষ্ট হয়ে বাদী আলাদতে নারাজি দেন।
এরপর মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলাম তার তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন, রবিউল চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও থানা সেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলুর ভাগ্নে। মামার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রবিউলকে হত্যা করা হয়।
২০২০ সালের ৪ মার্চ পরিদর্শক আনোয়ার সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিচার কাজ শেষে শেষে আদালত বৃহস্পতিবার ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।