দীর্ঘ ৩১ বছর পর ঝিনাইদহের মহেশপুরে চালু হয়েছে চৌকি আদালত।
রোববার দুপুরে উপজেলার পুরাতন আদালত ভবন চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা।
এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা গঠনের পর ১৯৮২ সালে মহেশপুরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে ১৯৯২ সালে উপজেলায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ করে জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়। এতে আবারো ভোগান্তিতে পড়েন উপজেলার দূরদূরান্ত এলাকার বিচারপ্রার্থীরা।
উপজেলা পর্যায়ে আদালতের কার্যক্রম চালু হওয়ায় খুশি বিচারপ্রার্থীসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল বলেন, এতে উপকার পাবেন এলাকার বিচারপ্রার্থীরা।
মহেশপুরের মানবাধীকার কর্মী আব্দুর রহমান বলেন, “এখানে আদালত ফেরায় বিচারপ্রার্থীরা উপকৃত হবেন। তাদের অনেক অর্থ ও সময় বেঁচে যাবে।”
কিছুটা ভোগান্তি হলেও আইনজীবী বলছেন, মানুষের দোরগোড়ায় আইনি সেবা পৌঁছতে পেরে সন্তুষ্ট তারা।
যদিও আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের বসার স্থান সংকটসহ কিছু সমস্যা রয়েছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
শফিকুল আজম খান চঞ্চল জানান, সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন দুজন বিচারক বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। এই আদালতে অন্তত পাঁচহাজার মামলা চলবে।
তিনি আরও বলেন, “সীমান্ত মহেশপুর উপজেলা থেকে আদালত তুলে ঝিনাইদহ জেলা সদরে নিয়ে যাওয়ায় বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ হচ্ছিল। আদালত ফিরে আসায় বিচার প্রার্থীরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে।”
ঝিনাইদহের সরকারি কৌঁশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, “আদালত ফেরায় ওই এলাকার বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুবিধা হবে। কিন্তু যেসব আইনজীবী জেলা ও উপজেলা দুই আদালতের মামলা নিয়ে কাজ করবেন, তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা হবে।”