চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছে কুড়িগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ছয় আসামিকে হাজির করা হলে তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক সুমন আলী জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলার প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা শিক্ষক মাওলানা জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে ভূরঙ্গমারী থানায় মামলা করেন নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী।
এ ঘটনায় গণিত, পদার্থ, রসায়ন ও কৃষি বিজ্ঞানের পরীক্ষা স্থগিত এবং উচ্চতর গণিত ও জীব বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা বোর্ড। নতুন প্রশ্নপত্র এবং নতুন রুটিনে পরীক্ষা নেওয়া শরু করেছে দিনাজপুর বোর্ড।
এদিকে মামলার এজাহারনামীয় আসামি অফিস সহকারী আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ভূরুঙ্গামারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, এর আগে চার আসামি রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। এ ছাড়া মামলার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। আর পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
“চাঞ্চল্যকর প্রশ্নফাঁসের এ মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আসামিদের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করা হয় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে।”
আরও পড়ুন: