কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন আলী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আজাহার আলী জানান।
প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় এ পর্যন্ত পাঁচ শিক্ষক ও একজন অফিস সহায়ককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, প্রশ্ন ফাঁসের হোতা প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবায়ের হোসেন, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুর রহমান, বাংলার শিক্ষক সোহেল আল মামুন এবং অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
ওসি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামি প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানের তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিলো। একই সঙ্গে আসামি পক্ষের আইনজীবী আসামিদের জামিন আবেদন করেন। বিচারক আবেদন গ্রহণ করে ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিচারক রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ দেন। এ সময় সকল আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন তিনি।
এছাড়া এদিন আসামি আমিনুর রহমান রাসেল ও জোবায়ের হোসেনেরও তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক আগামী ২ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ১ম এবং ২য় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে এলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসএসসির চারটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র উদ্ধার করেন। এরপর ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় চারজন শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলাও হয় ভূরঙ্গমারী থানায়।