“গাজীপুর পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রত্যেকটি নাগরিকদের যারা সম্মান করবে, সেইসব ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হওয়া দরকার।”
Published : 18 Dec 2023, 09:17 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি আসনের প্রতীক বরাদ্দের পর তিন আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এক মঞ্চে উপস্থিত হন।
সোমবার সকাল ১০টায় গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফীকুল ইসলামের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বেলা সোয়া ১২টায় তিন প্রার্থীকে নিয়ে গাজীপুর ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় ওই এলাকা লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে। রাজবাড়ী মাঠ থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।
গাজীপুর-১ আসনের (কালিয়াকৈর) স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর-২ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন ও গাজীপুর-৫ (কালিগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জাহাঙ্গীর তার বক্তব্যে বলেন, “আমাদের আবেগ, আমাদের এই শহর আমাদের এই জেলা এবং এই থানা। গাজীপুর পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রত্যেকটি নাগরিকদের যারা সম্মান করবে, সেইসব ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হওয়া দরকার। আজকে দেখেন সব আওয়ামী লীগ একসাথে হয়েছে।
“যাদের রক্তে আওয়ামী লীগ, যারা আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন, যারা জীবন দেয় আজ তারাই একসাথে হয়েছেন। মাননীয় প্রাধনমন্ত্রী একটা সুযোগ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নিয়ে স্বপ্ন দেখার। সেই সুযোগটা আগামী ৭ তারিখ আমরা কাজে লাগাতে চাই।”
২০১৮ সালে জাহাঙ্গীর নৌকা পেয়ে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারকে হারিয়ে দেন ২ লাখ ২ হাজার ৩৯৯ ভোটে। মেয়র হওয়ার পর থেকে রাজধানী লাগোয়া এই জনপদে তার প্রভাব ক্রমেই বাড়ছিল।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ঘরোয়া আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এরপর আওয়ামী লীগের একটি অংশের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ১৯ নভেম্বর দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। পরে তিনি হারান মেয়রের পদ।
১৩ মাসের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দলে ফেরেন জাহাঙ্গীর। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থি কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে গত ১ জানুয়ারি তাকে ক্ষমা করার কথা জানিয়ে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানে কাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিম উদ্দিন, রেজাউল করিম ও আখতারউজ্জামানও বক্তব্য রাখেন।
আখতারউজ্জামান বলেন, “ভোট সুষ্ঠু করতে হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যস্ত লাইন ধরে মা বোনেরা ভোট দিবে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন মানুষের আস্থার জায়গায় অনেকটা নিয়ে গেছে।
“সবকিছু এখন পর্যন্ত ঠিকভাবে চলছে, আমরা আশা করি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকমই চলবে। মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।”