পানিতে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ নোয়াখালীতে

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ দেশ বলে প্রশিক্ষণে জানানো হয়।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2023, 05:52 PM
Updated : 7 May 2023, 05:52 PM

নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়েছে।

‘গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর’র সহায়তায় গণমাধ্যম ও উন্নয়ন যোগাযোগ সংগঠন ‘সমষ্টি’ প্রশিক্ষণটি আয়োজন করে। 

রোববার অংশগ্রহণকারীদের সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন শেষে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ শেষ হয়।

এর আগে চাটখিল উপজেলার ভিমপুর গ্রামে ঈদের দিন সকালে পানিতে ডুবে ১৬ মাসের শিশুর মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা।

এ বিষয়ে পরবর্তীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক সাংবাদিক একটি করে প্রতিবেদন তৈরি করবেন বলে আয়োজকরা জানান।

সমাপনী পর্বে বক্তব্য রাখেন সমষ্টির ম্যানেজার মুনাব্বির আহমদ, জেলা সমন্বয়ক আবু নাছের মঞ্জু, সাংবাদিক বিকাশ সরকার, নাসির উদ্দিন বাদল, জামাল হোসেন বিষাদ, নাছির উদ্দিন শাহ নয়ন ও এ আর আজাদ সোহেল।

শনিবার সকালে জেলা শহরের গ্রীণহল প্রশিক্ষণ কক্ষে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কমিউনিকেশন ম্যানেজার সারোয়ার ই আলম।

প্রশিক্ষক ছিলেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুর জামান রনি।

প্রশিক্ষণে জানানো হয়, পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হারে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতিবছর এখানে প্রায় ১২ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদিও পানিতে ডুবে মৃত্যুর সবগুলো ঘটনার তথ্য গণমাধ্যম পায় না।

এ নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে কোনো কার্যকর তথ্য ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি বলে প্রশিক্ষণে জানানো হয়।

আবার গণমাধ্যম প্রতিবেদনগুলো শুধু ঘটনাকেন্দ্রিক উল্লেখ করে বলা হয়, এ নিয়ে গভীরতাধর্মী প্রতিবেদনের অভাব রয়েছে। গভীরতাধর্মী প্রতিবেদনে গণমাধ্যমগুলো গুরুত্ব দিলে বিষয়টি নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্ব পাবে এবং এ নিয়ে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয়টিকে তরান্বিত করবে।

প্রশিক্ষণে জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত ২৩ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।