দুপুরে বন্দিরা গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, পোলাও, সালাদ, পান-সুপারি খেয়েছেন।
Published : 14 Apr 2024, 07:55 PM
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের বিশেষ খাবার সরবরাহ করা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নারীদের কারগারের ডে-কেয়ার সেন্টারের শিশুদের মধ্যে বিশেষ খাবার পরিবেশন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা করা হয়েছে।
কারাবন্দিদের নিয়ে নানা আয়োজনে মুখরিত ছিল কারাচত্বর। তারা ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম, ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ ইত্যাদি গানে গানে মুখরিত করে তোলে।
নিয়ম-নীতি মেনে নববর্ষে বন্দিদের কিছুটা আনন্দ দিতেই এ আয়োজন করা হয় বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
ঈদের পরদিন বন্দিদের জন্য স্বজনদের রান্না করা খাবার ও সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, সেখানে প্রায় ২ হাজার ৩০০ বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৩৬ জন ফাঁসির, তিন শতাধিক যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত।
রোববার বন্দিদের খাবারের তালিকায় ছিল সকালে রুই-পান্তা, আলু ও বেগুন ভর্তা, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ; দুপুরে গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, পোলাও, সালাদ এবং রাতে সাদা ভাত, রুই মাছ ও মুড়ি ঘণ্ট।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এর সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ জানান, সেখানে এক হাজার ৩১৩ জন বন্দি রয়েছেন। বন্দিদের মধ্যে শতাধিক ফাঁসি, অর্ধশতাধিক যাবজ্জীবনের আসামি।
এ কারাগারেও বন্দিদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ খাবার এবং আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। বন্দিরা দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন।
কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, সেখানে আড়াই হাজারের ওপরে বন্দি রয়েছে। তাদেরকে খাবারের তালিকায় রয়েছে সকালে রুই-পান্তা, আলু ভর্তা, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ; দুপুরে গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, পোলাও, সালাদ এবং রাতে সাদা ভাত, রুই মাছ ও মুড়িঘণ্ট।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, সেখানে ৪৮৪ মতো বন্দি রয়েছেন। এ ছাড়া এ কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে বন্দিদের সঙ্গে আসা ৫২ জন শিশু রয়েছে। এখানে ফাঁসির আসামি ৩৩ এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ৪০ জন। এদিন এ কারাগারে নারী বন্দি ও ডে-কেয়ারের শিশুদের অংশগ্রহণে নাচ ও গান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহিলা কারাগারে খাবারের তালিকায় আছে সকালে রুই-পান্তা, আলু ভর্তা, কাঁচা মরিচ, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ; দুপুরে গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, পোলাও, সালাদ, পান-সুপারি এবং রাতে সাদা ভাত, ডিম ভুনা ও আলুর দম।