বিক্রেতাদের ভাষ্য, ঈদে পাইকারি ক্রয়মূল্য বেশি পড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে; ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে ঘিরে এটি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।
Published : 30 Jun 2023, 12:14 AM
ঈদের দিন ঝালকাঠির বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা শহরের বাজারগুলোতে ঘুরে কাঁচামরিচের এই খুচরা মূল্য দেখা যায়।
বিক্রেতাদের ভাষ্য, ঈদের বাজারে পাইকারি ক্রয়মূল্য বেশি পড়ায় খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে। তবে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে ঘিরে এটি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য।
ঈদের একদিন আগেও ঝালকাঠির খুচরা বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে।
ঈদের দিন সকালে কাঁচা বাজার করতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, “গত পরশু দিনও ত্রিশ টাকায় ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনেছি। আজ মনে হয়, না কিনেই বাসায় ফিরতে হবে।”
জেবুন্নেছা নামে আরেক নারী ক্রেতা বলেন, “আসলে ঈদকে ঘিরে স্থানীয় সিন্ডিটকের কারণে এ অবস্থা। ৭০০ টাকা মরিচের কেজি – এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
কাঁচাবাজার করতে আসা মনিরুজ্জামান বলেন, “সালাদসহ ঈদের রান্নায় কাঁচামরিচ না হলেই নয়; কিন্তু বাজারে এসে মাথায় হাত। পরে ৭০ টাকায় ১০০ গ্রাম কিনলাম।”
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যেখানে গরুর মাংস কেজি ৮৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, সেখানে প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচও।
এমন আকাশ ছোঁয়া দামের ব্যপারে বিক্রেতার বলছেন, বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হয়েছে বলে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি বড় বাজার কমিটির সহ-সভাপতি মো. কবির হাওলাদার বলেন, “ঈদের কারণেই পাইকারি বাজার চড়া। ৭০০ টাকা খুচর বেচলেও খুব বেশি লাভ থাকবে না। বরিশাল থেকে সকালে ৫৫০ টাকা পাইকারি কিনতে হয়েছে। মাত্র ২০ কেজি মরিচ আনতে পেরেছি। আর ওপর ‘কেরিং কস্ট’ রয়েছে।”
তবে ঈদের পর এমন দাম আর থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।