কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উপজেলার দাসিয়ার ছড়া ছিল সবচেয়ে বড় ছিটমহল; ১ হাজার ৬৪২ একর আয়তনের এই ভূখণ্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৮ হাজার।
Published : 31 Jul 2023, 08:25 PM
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের আট বছর পেরোল।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্যরাতে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তির আলোকে দু’দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে ভারতের ১১১টি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের ৫১টি ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি মেলে দুই দেশের ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ জীবনের।
দিবসটিতে প্রতি বছরই নানা কর্মসূচী পালন করেন বিলুপ্ত দাসিয়ার ছড়া ছিটের বাসিন্দারা। এর অংশ হিসেবে সোমবার আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা, রাত ১২টা ১ মিনিটে মোমবাতি প্রজ্জলন ও কেক কাটা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পতাকা উত্তোলন, র্যালির পাশাপাশি বিলুপ্ত দাসিয়ার ছড়া ছিটের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর উপজেলার দাসিয়ার ছড়া ছিল সবচেয়ে বড় ছিটমহল। ১ হাজার ৬৪২ একর আয়তনের এই ভূখণ্ডের জনসংখ্যা প্রায় ৮ হাজার।
ছিটমহল বিনিময়ের পর গত বছরে সরকারের নানা কর্মসূচীর কারণে এই এলাকার মানুষের জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য সেবা, কৃষিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন একসময়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ।
দাসিয়ার ছড়ার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, “দীর্ঘ ৬৮ বছর এখানকার মানুষ বাংলাদেশ বা ভারতের কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধা পায়নি। এক কথায় বন্দি জীবন কাটিয়েছে। কিন্তু ছিটমহল বিনিময়ের পর আমরা সব সুবিধা পেয়েছি, এজন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
ছিটমহল বিনিময়ের এই দিনটিকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। সেইসঙ্গে দাসিয়ার ছড়াকে আলাদা ইউনিয়ন ঘোষণারও দাবি জানান।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বিলুপ্ত ছিটবাসীদের দেশের উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য শিক্ষা ও আইসিটি খাতভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: