নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও দুটি নাশকতার মামলা

সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানায় এ দুটি মামলা করেছে পুলিশ।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও দুটি নাশকতার মামলা করেছে পুলিশ।

রোববার সকালে এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওসি মশিউর রহমান জানান, এসআই সানোয়ার হোসেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷

অপরদিকে আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, এসআই মামুন মিয়া বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪৩ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ৫০-১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী মেম্বার, ছাত্রদলের সভাপতি জুবায়ের রহমান দিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বাচ্চু মিয়ার নাম রয়েছে।

এর আগে গত ২১ নভেম্বর গভীর রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৩৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন এসআই শাহাদাত হোসেন।

নতুন মামলার প্রসঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওসি মশিউর রহমান বলেন, “আসামিরা শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার এক বাসায় নাশকতার প্রস্তুতির জন্য গোপন বৈঠক করছিল৷ পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গেলে আসামিরা একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়৷ আসামিদের ধাওয়া দিয়ে ধরতে গেলে ধস্তাধস্তিতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন৷”

পুলিশ ‘আত্মরক্ষার্থে’ ১১টি গুলি ছুড়েছে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি বিস্ফোরিত হাতবোমার অংশবিশেষ ও চারটি অবিস্ফোরিত হাতবোমা আলামত হিসেবে জব্দ করেছে৷”

এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি জানিয়ে ওসি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷

আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, “শনিবার সন্ধ্যায় মদনপুর-আড়াইহাজার সড়কে ছাত্রদল একটি মশাল মিছিল বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা একাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ছাত্রদলের দুইজনকে আটক করে৷ এ সময় ৬২টি মশাল উদ্ধার করে৷ পরে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷”

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের রাধানগর এলাকার মতিনের ছেলে ছাত্রদল কর্মী রতন মিয়া ও উপজেলার চামুরকান্দী এলাকার মুনছুর আলীর ছেলে মোজাম্মেল৷

এদিকে নাশকতার অভিযোগ অস্বীকার করে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জোবায়ের রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিলের প্রস্তুতির সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৩০-৪০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও দা নিয়ে হামলা করে।

হামলায় সাত থেকে আটজন আহত হয়েছেন দাবি করে জোবায়ের আরও বলেন, পরে তারা ছাত্রদলের রতন মিয়াকে পিটিয়ে পুলিশে দেয়৷