গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ইজতেমা ময়দানের চারপাশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
Published : 09 Feb 2024, 08:20 AM
ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছোট ছেলে ইলিয়াস বিন সাদ’র আম বয়ানের মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
ইলিয়ান বিন সাদ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর উর্দুতে বয়ান শুরু করেন, যা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
এদিন সকাল ১০টা থেকে ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ তালিম করবেন। জুমার নামাজের আগে ১০ মিনিট ফাজায়েল বয়ান করবেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
প্রথম পর্বের মতো শুক্রবার দুপুর দেড়টায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে দেশের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজ পরিচালনা করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
এদিন বাদ জুমা বয়ান করবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাওলানা শেখ মোফলে, এর বাংলা তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর।
বাদ আছর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মোশারফ, এবং বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ বয়ান করবেন, যা বাংলায় তরজমা করবেন জিয়া বিন কাশেম।
বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তার পূর্ব পাশের মঞ্চ থেকে তাবলীগ জমাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করেন।
প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। ১৬০ একর ময়দানে কিছু অংশ চটের প্যান্ডেল এবং ময়দানের বাকি অংশ ইজতেমায় যোগ দিতে আসা মুসল্লিরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সামিয়ানা টানিয়েছেন। তবে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সুবিধাসহ আবাসস্থল।
বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান করছেন। সামিয়ানার নিচে অবস্থান নেয়া বিদেশি মুসুল্লিদের জন্য মূল বয়ানটি বিভিন্ন ভাষায় তরজমা হচ্ছে, যাকে বলে ‘খুশুশি বয়ান’।
ইজতেমা ময়দানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন বলে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ইজতেমা ময়দানের চারপাশে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
আগামী রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।
এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় গত ২ ফেব্রুয়ারি, যা ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।