কক্সবাজারের টেকনাফে দুইদিন আগে ‘অপহৃত’ এক কৃষক ও তার ছেলে বাড়ি ফিরে এসেছে।
মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছাড়া হয়েছে বলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি দাবি করলেও পুলিশ বলছে তারা এ বিষয়ে কিছু জানে না।
শনিবার দুপুরে টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাছির উদ্দিন জানান, আগের রাতের যে কোনো সময় বাবা-ছেলেক ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী এলাকার ওলা মিয়ার ছেলে নজির আহমদ (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭)।
তবে ঘটনাটি অপহরণ নয় জানিয়ে নাছির বলেন, “মূলত গরু ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ দুইজনকে জিম্মি করা হয়েছিল।”
ঘটনার বর্ণনায় হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মরিচ্যাঘোনা এলাকার শসাক্ষেতে নজির ও তার ছেলে মোহাম্মদ এবং স্থানীয় শাহজাহান ও মেহেদীসহ আরও কয়েকজন কাজ করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে চারজনকে জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পথে গহীন পাহাড়ি এলাকায় আরেকটি দুর্বৃত্ত দলের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা।
“এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে সুযোগ পেয়ে শাহজাহান ও মেহেদী পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তবে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে শাহজাহান আহত হন।"
ভুক্তভোগীদের স্বজনদের বরাতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “কৃষক বাবা-ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার পর মোবাইল ফোনে তার বাড়ির লোকজনের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল দুর্বৃত্তরা। এক পর্যায়ে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিদর্শক নাছির বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানও চলছে। তবে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পাওয়ার বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।