ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এবং উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এ কে আজাদ–দুজনেই থাকছেন ভোটের মাঠে।
Published : 02 Jan 2024, 12:39 PM
দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রশ্নে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের আবেদনের শুনানি হবে নির্বাচনের পর।
এ কে আজাদের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারকের আপিল বেঞ্চ শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়।
এ কে আজাদের পক্ষে এদিন সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী তানজীব উল আলম।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় ভোটের আগে আর সেই শুনানি হচ্ছে না।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ফরিদপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শামীমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজাদ তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। তার অভিযোগ ছিল, শামীম নেদারল্যান্ডসের নাগরিক।
অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীমও পাল্টা অভিযোগ করেন ইসিতে। তার দাবি, আজাদ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
গত ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে আজাদের প্রার্থিতা টিকে গেলেও শামীমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এরপর তিনি হাই কোর্টে রিট করেন।
কিন্তু শামীম হকের রিট আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।
এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী। চেম্বার আদালত তার পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়। ফলে শামীমের ভোট করার পথ খোলে।
এরপর ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেন আজাদ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি ২ জানুয়ারি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য। আদালতের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত তারা দুজনেই ভোটের মাঠে থাকলেন।
আরও পড়ুন-
ফরিদপুর-৩: নৌকার শামীমের প্রার্থিতা বাতিলে এ কে আজাদের আপিল
দ্বৈত নাগরিকত্ব: সাদিক-শাম্মী-শামীমের প্রার্থিতা বাতিল, টিকে গেলেন আজাদ
আপিল বিভাগে প্রার্থিতা ফিরল নৌকার শামীম হকের
শামীম হকের প্রার্থিতা ফের চ্যালেঞ্জে, আপিল বিভাগে শুনানি ২ জানুয়ারি