“প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমার আছে। সেসব দেখে নির্বাচন কমিশন আমাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি,” বলেন শামীম
Published : 08 Dec 2023, 07:32 PM
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী এ কে আজাদ।
শুক্রবার এ কে আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদনটি জমা দেন।
এই আইনজীবী বলেন, “আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। স্বতন্ত্র প্রার্থী একে আজাদের মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় তথ্য উপাত্তসহ লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও রিটার্নিং অফিসার শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল না করে বৈধ ঘোষণা করেন। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে আজ আপিল দায়ের করা হয়েছে।"
গোলাম কিবরিয়া বলেন, “শামীম হকের নেদারল্যান্ডসের আগের পাসপোর্ট নম্বর BESHC8751, জন্ম তারিখ ২১ অক্টোবর ১৯৬০। বাংলাদেশি পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য সম্প্রতি তিনি ফরিদপুর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দরখাস্ত করেছেন। সেই দরখাস্তের ২৫ নম্বর কলামে দ্বৈত নাগরিকত্বের ঘরে তিনি টিক মার্ক দিয়েছে।
“২৬ নম্বর কলামে অন্য দেশের নাগরিক থাকলে সেই দেশের নামের জায়গায় নেদারল্যান্ডস উল্লেখ আছে। ২৭ নম্বর কলামে তার নেদারল্যান্ডসের বর্তমান পাসপোর্ট নম্বর BY60F0J74 উল্লেখ করা আছে। শামীম হক একজন বিদেশি নাগরিক হওয়ায় তিনি সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হতে পারে না, তিনি প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য।”
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক বলেন, “এক সময় আমার নেদারল্যান্ডসের পাসপোর্ট ছিল। ভোট করার যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন তা প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমার আছে।
“সেসব দেখে নির্বাচন কমিশন আমাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
‘বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন শামীম।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে জমা দেওয়া মনোনয়নপত্রের চার দিনের যাচাই বাছাই কার্যক্রম শেষ হয় গত ৪ ডিসেম্বর। তাতে বাতিল হয় ৭৩১টি মনোনয়নপত্র, আর বৈধ হয় ১ হাজার ৯৮৫টি।
বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবং বৈধ ঘোষিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে শুক্রবার পর্যন্ত ৪৩১টি আপিল আবেদন হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণে সংক্ষুব্ধ? জেনে নিন আপিলের নিয়ম
এর মধ্যে ৯টি আবেদনে মনোনয়নপত্র ও হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ার অভিযোগে বৈধ ঘোষিত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চাওয়া হয়েছে। বাকিরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন।
শনিবার আপিল দায়েরের সময় শেষ হওয়ার পর ছয় দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে ইসি। সেই হিসাবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আপিল নিষ্পত্তি হবে।
সেদিন আপিলের সিদ্ধান্ত বা ফলের ভিত্তিতে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তা প্রকাশ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আর বৈধ প্রার্থীরা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।