আগামী ৫-৯ ডিসেম্বর এ আবেদন করা যাবে।
Published : 03 Dec 2023, 10:05 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে ২,৭১২টি মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের কাজ শেষ হচ্ছে সোমবার। এর মধ্যে যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হচ্ছে, তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন পরদিন থেকে।
আবার মনোনয়নপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তার মানে কারও মনোনয়নপত্র রিটার্নিং কর্মকর্তা গ্রহণ করলেও সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক সংক্ষুব্ধ হলে প্রার্থী বা তার কাছ থেকে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কিংবা ব্যাংক আপিল করতে পারবেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ আপিল করার সুযোগ থাকছে।
ইসির পরিপত্র অনুযায়ী, কমিশনকে সম্বোধন করে ইসি সচিবের কাছে স্মারকলিপি আকারে আপিল দায়ের করতে হবে। মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের তারিখ; আপিলের কারণ সম্বলিত বিবৃতি এবং বাতিল বা গ্রহণ আদেশের সত্যায়িত কপি সংযোজন করতে হবে।
আপিল দায়েরের সময় শেষ হওয়ার ছয় দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে ইসি। সেই হিসাবে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আপিল নিষ্পত্তি হবে।
সেদিন আপিলের সিদ্ধান্ত বা ফলের ভিত্তিতে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীর তালিকায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে তা প্রকাশ করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আর বৈধ প্রার্থীরা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। পরদিন প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন, যা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮ টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র বাছাই যেভাবে
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় প্রার্থী, তাদের এজেন্ট, প্রস্তাবকারী, সমর্থনকারী এবং প্রার্থী নিযুক্ত আইনজীবী বা অন্য কেউ উপস্থিত থাকছেন। উপস্থিত সবার সামনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন; কেউ কোনো মনোনয়নপত্র সম্পর্কে আপত্তি তুললে তা সেখানে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোটাদাগে যা দেখেন, তার মধ্যে আছে- ক) প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে যোগ্য কি না খ) প্রস্তাবক/সমর্থক মনোনয়নপত্রে প্রস্তাব/সমর্থনের যোগ্য কি না গ) আরপিও’র ১২ বা ১৩ অনুচ্ছেদের বিধান যথাযথভাবে পালিত হয়েছে কি না ঘ) প্রার্থী এবং প্রস্তাবক-সমর্থক স্বাক্ষর সঠিক কি না।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর প্রার্থীর তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়; সিআইবি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাছাই করা হয়। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা ঋণ বা বিল খেলাপি কি না, তাদের দেওয়া আর্থিক তথ্যে অসঙ্গতি আছে কি না- তা যাচাই করা হচ্ছে। যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিধানগুলো দেখে প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।