বরিশালের গৌরনদীতে বিস্কুটবাহী কভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেমন তালুকদার ওরফে কালু বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে গৌরনদী মডেল থানায় মামলাটি করেন বলে ওই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলালউদ্দিন জানান।
মামলায় শুক্রবার উপজেলার সরিকল এলাকা থেকে বিএনপি কর্মী মিরাজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সরোয়ার আলম, সদস্যসচিব জহির সাজ্জাদ হান্নান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাদল, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির শরীফ, সদস্য ফরিদ মিয়া, বরিশাল উত্তর জেলার সদস্যসচিব মিজানুর রহমান, বরিশাল জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল আলম সেন্টু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনর হাওলাদার, সদস্যসচিব মনির আকন, ছাত্রদলের উপজেলা আহ্বায়ক রুবেল গোমস্তা, যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব মাহতাফ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল সরদার, বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য পান্না সরদার, আহসান হাবিব, সয়ন ফকির, রাজীব হাওলাদ্রা, জনি বেপারী, খলিল হাওলাদার, সাইফুল মীর, মো. বিপ্লব, মাকসুদ মৃধা, দেলোয়ার সরদার, মিরাজ খান, মো. আতিক, সুমন বেপারী ও হৃদয় বেপারীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫ নেতাকর্মী।
মামলার নথির বরাতে পরিদর্শক হেলাল জানান, গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বরিশাল শিল্প নগরী (বিসিক) থেকে কভার্ড ভ্যানে বিস্কুট ভরতি করে মৌলভীবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন গাড়িটির চালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
রাত পৌনে ১২টার দিকে মহাসড়কের গৌরনদীর বাটাজোর কবি বাড়ির দক্ষিণ পাশে পৌঁছলে ৬/৭ ব্যক্তি গাছের গুঁড়ি ফেলে বিস্কুট ভরতি ভ্যানটির গতিরোধ করেন।
চালক থামানোর সঙ্গে সঙ্গে দুজন গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং অন্য দুজন গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেন।
চালক সিরাজুল ও তার সহকারী আহাদ হোসেন (২৩) প্রাণ রক্ষায় গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়েন ও আহত হন।
সঙ্গে সঙ্গে দুই দুর্বৃত্ত এসে তাদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা দৌড়ে প্রাণে বাঁচেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাশকতা সৃষ্টি করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি ও ক্ষতিসাধন করা কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মামলার আসামি বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, “এ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা-মামলার কারণে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের একটি নেতাকর্র্মীও এলাকায় থাকতে পারেন না। এমন কী, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা করে নেতাদের না পেয়ে পরিবার-পরিজনকে পিটিয়ে আহত করে এলাকা ছাড়া করেছেন। গত ১৫ বছরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি নেতকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে।”
এদিকে, বিএনপির অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেছেন গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন: