স্বামীকে ‘কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে’ হত্যার পর থানায় হাজির স্ত্রী

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে রাকিব তার স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসার পথে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পটুয়াখালীতে স্বামীকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় হাজির হলেন স্ত্রী।

শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে পটুয়াখালী পৌরসভার কলাতলা আকন বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমদ মঈনুল হাসান।

তিনি জানান, রাত ৮টার দিকে জিনিয়া ইসলাম (১৮) নামে ওই তরুণী থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

নিহত মো. রাকিব ইসলাম (২০) শহরের কলাতলা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমদ মঈনুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, গত ঈদুল আজহার তিনদিন আগে শহরের কলাতলা আকন বাড়ির ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলামের ছেলে মো. রাকিব ইসলামের সঙ্গে সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের জুয়েল আকনের মেয়ে জিনিয়া ইসলামের বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে বেকার রাকিব প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন।

সম্প্রতি স্ত্রী পরকীয়া করছেন সন্দেহে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে জিনিয়া তার বাবার বাড়ি চলে যান।

শুক্রবার দুপুরে রাকিব তার স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসার পথে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পুলিশ আরও জানান, বাড়ি ফিরে বিকালে রাকিব ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। তখন ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে ও নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে রাকিবকে হত্যা করেন জিনিয়া।

রাত ৮টার দিকে তিনি পটুয়াখালী সদর থানায় হাজির হয়ে ঘটনার কথা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ গিয়ে রাকিবের লাশ উদ্ধার করে।

মঈনুল হাসান আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।