নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি বেসরকারি ক্লিনিক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চিকিৎসকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ক্লিনিকটির পরিচালক-ব্যবস্থাপকও আছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রীর করা হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বুধবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার সেবা হাসপাতাল নামের ক্লিনিকের একটি কক্ষ থেকে জহিরুল ইসলাম (৩৭) নামে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জহিরুলের হাত ও পায়ে বেশ কিছু ইনজেকশনের সূচের ক্ষত ও রশি দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
নিহত ওই যুবক ক্লিনিকের ফার্মেসির দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, হাসপাতাল পরিচালকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন ব্যক্তিকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন: সেবা হাসপাতালের পরিচালক মনিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আক্তারুজ্জামান, চিকিৎসক নাজমুল আলম, ওয়ার্ডবয় মিন্টু মিয়া ও মুজিবুর রহমান।
তাদের বুধবার দুপুরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল।
হত্যা রহস্য উদঘাটনে ক্লিনিকটির সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করে পর্যালোচনা করছে পুলিশ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর নিহত জহিরুল ইসলামের মরদেহ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামে দাফন করা হয়েছে। জহিরুল ওই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।