ঘটনাস্থল ঘটকচর ভোটকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে। কাউয়াকুড়ি গ্রামে পূর্বের দলাদলির জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে।”
Published : 07 Jan 2024, 06:05 PM
মাদারীপুর সদর উপজেলায় একটি এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।
উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কাউয়াকুড়ি গ্রামে রোববার বেলা ৩টা থেকে এক ঘণ্টা এ সংঘর্ষ হয় বলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান।
পুলিশ ঘটনাটিকে ‘গ্রাম্য দলাদলি’ বললেও স্থানীয়দের একে ‘ভোটের সংঘর্ষ’ বলছে।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত দশটি বাড়িঘরে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং দশজন আহত হওয়ার খবরও স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-৩ আসনের একটি ভোটকেন্দ্র ঘটকচর উচ্চ বিদ্যালয়। দুপুরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থক জয়নাল মাতুব্বরের সমর্থকের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক সাইদুল শরীফের অনুসারীদের ওই কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে ভোটকেন্দ্রের সংঘর্ষের জের ছড়িয়ে পড়ে ঘটকচরের পাশের কাউয়াকুরি গ্রামে। সেখানেও উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে; কয়েকটি রান্নাঘর ও খড়ের পালায় আগুন দেওয়া হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাউয়াকুরি গ্রামের মাহিনুর বেগম বলেন, “আমি ঘটকচরে ভোট দিতে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য ঘরে রাখা চার লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে; রান্নাঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।”
সোলেমান হাওলাদার নামের আরেকজন বলেন, “গত বছর আমার মেয়ে জামাই মারা গেছে। তার পাকের ঘর আগুন দিয়ে পোড়াই দিছে। এখন কী দিয়ে ঘর উঠামু বুঝতে পারছি না। একেবারে শুধু শুধু ভোট নিয়ে এই গণ্ডগোল করল।”
শাহিনুর বেগম বলেন, “আমরা গেছিলাম ভোট দিতে। বাড়িতে এসে দেখি সবকিছু ভেঙে ফেলেছে; খড়ের পালায় আগুন দিয়েছে।”
ঘটনাটি ভোটের সহিংসতা কি-না জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, “ঘটনাস্থল ঘটকচর ভোটকেন্দ্র থেকে অনেক দূরে। কাউয়াকুড়ি গ্রামে পূর্বের দলাদলির জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।