নবজাতককে দেখতে আসতে থাকেন অনেকেই। তাদের কেউ কেউ শিশুটিকে নিজের সন্তান পরিচয়ে বড় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
Published : 26 Jan 2024, 12:20 AM
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সদ্য ভুমিষ্ঠ কন্যা সন্তানকে ফেলে চলে গেছেন এক মা। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি দেখে সেই মায়ের সন্ধানে কাজ করছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি খোঁজ নিয়ে জেনেছে, সেই নারী অসত্য ঠিকানা ও পরিচয় উল্লেখ করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ডিউটি অফিসার এস আই হাসানুজ্জামান জানান, পাপিয়া খাতুন নাম ব্যবহার করে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক নারী বুধবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন। তিনি ঠিকানা উল্লেখ করেন আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের কেস্টপুর গ্রাম। স্বামীর নাম উল্লেখ করেন আলমগীর হোসেন।
সেই প্রসূতির সঙ্গে ছিলেন আরো এক নারী।
ওই রাতেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন প্রসূতি। এরপর তাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়ে। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তিনি খানিকটা সুস্থ বোধ করেন। এক পর্যায়ে গাইনি ওয়ার্ডে থাকা বিলকিস খাতুন নামের এক নারীর কাছে নবজাতককে রেখে সেই মা ও সঙ্গে থাকা নারী হাসপাতাল থেকে চলে যান।
দীর্ঘসময়েও তারা ফিরে না আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে জানায়।
এস আই হাসানুজ্জামান বলেছেন, “সন্তানকে ফেলে যাওয়া মায়ের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
এ খবর জানাজানি হলে নবজাতককে দেখতে আসতে থাকেন অনেকেই। তাদের কেউ কেউ শিশুটিকে নিজের সন্তান পরিচয়ে বড় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পাতিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ -জোহরা হাসপাতালে গিয়ে নবজাতককে দেখে আসেন।
শিশুটিকে দত্তক নিতে বহু মানুষের আগ্রহের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, নবজাতককে চুয়াডাঙ্গা পুলিশের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের কাছে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, “ওই নারী হাসপাতালে যে ঠিকানা দিয়ে গেছেন, যাচাই করে দেখা গেছে তা অসত্য। আমরা ওই নারীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।”