মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ১৫ জন নেতা-কর্মীকে বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ জানায়।
Published : 23 Nov 2022, 10:38 AM
শেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দলটির ৬৬ জন নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার এসআই আমিনুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশকে মারধর ও সরকারি দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে এ মামলা করেন বলে ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার ১৫ জন নেতা-কর্মীকে বুধবার আদালতে তোলা হবে বলে জানান ওসি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের গৃদানারায়ণপুরের বাসভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, আটক ১৬
বিক্ষোভ মিছিলটি রঘুনাথবাজার কালীমন্দির মোড়ে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে বলে বিএনপি নেতাদের ভাষ্য।
এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে শহরের রঘুনাথ বাজার ও গৃদানারায়ণপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাস্তায় যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার সেল ও শটগানের গুলি ছোঁড়ে। পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ার সেল, ইটপাটকেলের আঘাতে এবং দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পথচারী, বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের দাবি, এ ঘটনায় তাদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আর পুলিশের ৬/৭ জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানের ভাষ্য।