শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, আটক ১৬

সংঘর্ষ চলাকালে শহরের রঘুনাথ বাজার ও গৃদানারায়ণপুর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়; যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2022, 12:56 PM
Updated : 22 Nov 2022, 12:56 PM

শেরপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে।  

মঙ্গলবার জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার কালীমন্দির মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানো গ্যাস ছুড়েছে। 

বিএনপি বলছে, তাদের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং ১৬ নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।

এছাড়া পুলিশের ৬/৭ জন সদস্য আহত হয়েছেন বলে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।   

প্রত্যক্ষদর্শী, বিএনপি নেতকর্মী ও পুলিশ জানিয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের গৃদানারায়ণপুরের বাসভবনের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

বিএনপি নেতাদের ভাষ্য, বিক্ষোভ মিছিলটি রঘুনাথবাজার কালীমন্দির মোড়ে এলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে। 

এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে শহরের রঘুনাথ বাজার ও গৃদানারায়ণপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাস্তায় যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কার্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার সেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক-সেদিক ছুটতে থাকেন। 

পুলিশের লাঠিপেটা, টিয়ার সেল, ইটপাটকেলের আঘাতে এবং দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পথচারী, বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশ আহত হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, “শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে অহেতুক লাঠিচার্জ করেছে, কাদানে গ্যাস ছুড়েছে এবং গুলি চালিয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক নেতকর্মী আহত হয়েছেন।”

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০১ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ২২ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ৬/৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে এবং এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।