জেলা সিভিল সার্জন জানান, অপারেশন হওয়া তিনজন রোগীর ছুটি হয়ে গেলে নতুন করে আর কোনো চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে পারবে হাসপাতালটি।
Published : 02 Apr 2024, 03:09 PM
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তায় লাইফ কেয়ার হাসপাতাল পরিদর্শন শেষ এর পুরো কার্যক্রম বন্ধ রাখার নিদের্শ দেওয়া হয় বলে গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার।
এর আগে রোববার রাতে কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের অবহেলায় ৩০ বছর বয়সি ইয়াছমিন আক্তার নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। এ সময় কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে গেলে উত্তেজিত স্বজনেরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা বলেন, “লাইফ কেয়ার হাসপাতালের একজন সিস্টারের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আসলে সিস্টার না। তিনি কোথাও থেকে পড়াশোনা করে নাই। এ ছাড়া যিনি ব্লাড সংগ্রহ করে তারও কোনো ট্রেনিং নাই। রোগীর ফাইলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পাওয়া যায়নি। প্রতিটি রোগীর একই কেস কোনো ওটি নোট লিখা নাই।“
তিনি বলেন, সেখানে শুধুমাত্র কনসার্ন পেপারে আছে, যাতে কোনো চিকিৎসকের স্বাক্ষর নাই। যারা লিখছে তারা সেখানে কি লিখছে, সেটাও তারা বলতে পারছে না।
“এটা তো অদক্ষতার মধ্যেও পড়ে না। এই রিলেটেড লোকই না তারা। আমি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়ে যাচ্ছি। এ জন্য আমি এসেই ভর্তি রোগী কয়জন আছে তার খোঁজ খবর নিয়েছি।”
শনিবার এবং রোববার অপারেশন হওয়া তিনজন রোগী ভর্তি আছেন। আজকে রাতে না হলেও আগামীকালের মধ্যে তাদের ছুটি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
মাহমুদা বলেন, “লাইফ কেয়ার ১০ বেডের হাসপাতাল। ১০ বেডের হাসপাতালে কাগজপত্রসহ সব কিছুই থাকবে। ১০ বেডের হাসপাতালে যতজন ডাক্তার লাগে, যতজন সিস্টার লাগে, সেই ডাক্তার এবং সিস্টারসহ সব কাগজপত্র আমাদের কাছে নিয়ে যাবে, তারপর আবার এসে দেখব। দেখে সন্তুষ্ট হওয়া গেলে তারপর হাসপাতাল চালুর অনুমতি দেওয়া হতে পারে।”
আপাতত তিনজন রোগীর চিকিৎসা চলমান আছে, তাদের আজ রাতে অথবা আগামীকাল ছুটি হওয়ার কথা। তাদের ছুটি হয়ে গেলে হাসপাতালটি নতুন করে আর কোনো চিকিৎসা কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন।
আরও পড়ুন:
‘অবহেলায়’ প্রসূতির মৃত্যুর পর পালিয়েছে চিকিৎসক, হাসপাতাল ভাঙচুর