সমাবেশে যোগ দিতে সুনামগঞ্জের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌ-যান দুদিন আগে এবং বাস ও মোটরসাইকেল একদিন আগে রওনা হয়।
Published : 18 Nov 2022, 08:48 PM
সিলেটে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সুনামগঞ্জ থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কয়েকটি নৌকা পৌঁছেছে; বাকিগুলোও রাতের মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন।
সমাবেশে যোগ দিতে সুনামগঞ্জের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌ-যান দুদিন আগে এবং বাস ও মোটরসাইকেল একদিন আগে রওনা হয়।
শনিবার সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে মাঠে হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক উপস্থিত হয়েছেন।
ধর্মঘট যাতে সম্মেলনে পৌঁছতে প্রভাব ফেলতে না পারে সেজন্য বিকল্প হিসেবে নৌকা ও মোটরসাইকেল রাখা হয়। একই সঙ্গে বাস তো আছেই।
বাস ও মোটর সাইকেলে নেতা-কর্মীরা রওয়ানা হন শুক্রবার; আর নৌ-পথে যাত্রা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার যেসব নৌ-যান পৌঁছেছে সেগুলো সিলেট নগরীর কাজিরবাজার সেতুর পাশে রাখা হয়েছে।
একটি নৌ-যানে ১০০ থেকে ১৫০ জন নেতা-কর্মী এসেছেন; প্রতিটি নৌ-যানে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলে নেতারা জানান।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নৌকাঘাটে কথা হয়।
তিনি জানান, কোনো বাধা ছাড়াই তাদের সাতটি নৌকা সিলেট কাজীরবাজার সেতুর কাছে ঘাটে ভিড়িছে। নেতা-কর্মীদের আরও ৩৩টি নৌকাও সন্ধ্যার মধ্যে চলে আসবে আশা করছেন।
প্রথমে কিছুটা আতঙ্ক ও উত্তেজনা থাকলেও উৎসবের আমেজেই নৌ-যাত্রা শেষ হয়েছে; প্রত্যেক নৌকায় ১০০ থেকে ১৫০ জন এসেছেন বলে তিনি জানান।
সন্ধ্যায় কথা হয় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহ আলমের সঙ্গে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে তাহিরপুর থেকে তাদের নৌকাটি ৮০ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে ছাড়ে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেটে এসেছেন তারা। পরিবহন ধর্মঘট থাকায় বাধ্য হয়েই নৌকাযোগে আসতে হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এনামুল হক এনাম জনান, নৌ-যান ও মোটরসাইকেল যাত্রায় এখন পর্যন্ত কোনো বাধার মুখে পড়েননি। তবে বাধা আসলে প্রতিহত করেই তারা সমাবেশে যোগ দিতেন।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুল হক বলেন, “আমরা নিশ্চিত ছিলাম পরিবহন ধর্মঘটসহ নানাভাবে সমাবেশে যোগদান করাকে বাধা দেওয়া হবে। তাই পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী চল্লিশটি বড় নৌকা ও হাজারো মোটরসাইকেলে তাহিরপুর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা ও জামালগঞ্জ উপজেলার নেতা-কর্মীদের সমাবেশে নিয়ে এসেছি। বাধা দিয়ে সমাবেশ ও আন্দোলনকে আর ঠেকানো যাবে না।”
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে দলটি আট বিভাগ ও দুই সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে (সাংগঠনিক বিভাগ) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহ ছাড়া আর সব সমাবেশের সময় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। ময়মনসিংহে ধর্মঘট না থাকলেও যান চলাচল করেনি।
সিলেটের সমাবেশের আগে বিভাগের চার জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে ধর্মঘটের মধ্যেই নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিভিন্ন স্থান দলের নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: