সিলেটে বিএনপির সমাবেশের একদিন আগে ও সমাবেশের দিন সুনামগঞ্জে ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহন মালিক সমিতি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্মঘটের কথা জানান সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন।
সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজী সেতুতে টোল আদায় বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে ধর্মঘট ডাকার কথা বলা হলেও বিএনপির দাবি তাদের সমাবেশে বাধা দিতে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
আগামী শনিবার সিলেট নগরীর সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ নানা দাবিতে দলটি আট বিভাগ ও দুই সংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ করছে।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে (সাংগঠনিক বিভাগ) সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ময়মনসিংহ ছাড়া আর সব সমাবেশের সময় পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। ময়মনসিংহে ধর্মঘট না থাকলেও যান চলাচল করেনি।
সিলেটের সমাবেশের আগে বিভাগের অপর দুই জেলা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জেও ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই লামাকাজি সেতুতে টোল বন্ধ, ব্যাটারি চালিত সিএনজি চলাচল বন্ধ, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস বন্ধ এবং সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নের দাবিতে কর্মসূচি চলমান আছে। বিভিন্ন সময়ে ধর্মঘটসহ স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
“এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ও শনিবার সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করিনি। পূর্ব ঘোষিত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি আমরা। এর আগেও আমরা একই দাবিতে নিয়মিত কর্মসূচি চালিয়েছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নূরুল বলেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সিলেট মহাসমাবেশের জনস্রোত আটকানো যাবে না। নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ সমাবেশস্থলে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছেন।
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় সরকারের উপর মানুষ ক্ষেপেছে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: