মামলা দুটিকে উদ্দেশ্যমূলক বলছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
Published : 16 Nov 2022, 10:37 PM
সিলেটের ওসমানীনগর এবং বিয়ানীবাজারে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সাড়ে ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মিয়া এবং গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিয়ানীবাজারের আবদুল হাফিজ নামের এক গ্যারেজ মালিক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন বলে সংশ্লিষ্ট থানার পরিদর্শকরা জানান।
এদিকে, মামলা দুটিকে উদ্দেশ্যমূলক বলছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
ওসমানীনগর থানার পরিদর্শক এসএম মাঈন উদ্দিন জানান, রিপন মিয়ার মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রিপন মিয়া জন্মদিন উপলক্ষে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গোয়ালাবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে অন্য বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে হঠাৎ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের মারপিটে রিপন আহত হন।”
এর পরপরই উপজেলার দয়ামীর বাজার থেকে ছাত্রদল নেতা ফয়ছল আহম লিমন (২৭) এবং বিএনপি কর্মী মো. নুরুল ইসলাম (৩২) আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার পুলিশ জানায়, যুবলীগ নেতা রিপনের করা মামলায় এরা এজাহারভুক্ত আসামি।
“আটক দুজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে; অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চলছে,” বলেন পরিদর্শক মাঈন উদ্দিন।
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্যারেজ মালিক আবদুল হাফিজের করা মামলায় বিএনপির অজ্ঞাতনামা ৫০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
ওই রাতেই দুলাল (৪০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে আটক করা হয় বলে বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার বিকালে হাফিজের গ্যারেজে হামলা চালান। এ সময় নেতা-কর্মীরা গ্যারেজের একটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।”
তবে মামলা দুটিকে উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “সিলেটে গণসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে মামলা করা হচ্ছে। তবে কেনোভাবেই সমাবেশে বিপুল জনসমাগম ঠেকানো যাবে না।”