সমাবেশের আগে মৌলভীবাজারে পরিবহন ধর্মঘট, বিএনপি বলছে, ‘লাভ হবে না’

১৮ নভেম্বর সারাদিন ও ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2022, 10:01 AM
Updated : 17 Nov 2022, 10:01 AM

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে মৌলভীবাজারেও পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে গাড়ি আটকে সমাবেশে মানুষ আসা ঠেকানো যাবে না বলে দলটির নেতাদের ভাষ্য।

অটোরিকশা নিবন্ধন বন্ধ ও জেলা সদরে স্থায়ী একটি ট্রাকস্ট্যান্ড নির্মাণের দাবিতে বুধবার সন্ধ্যায় মৌলবীবাজার বাস-মিনিবাস ও ট্রাক কর্ভাডভ্যান মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের নেতারা এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

বিএনপির সমাবেশের আগের দিন ১৮ নভেম্বর সারাদিন ও ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

মৌলভীবাজার জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, জেলায় চাহিদার তুলনায় দশ গুণ বেশি অটোরিকশা চলে। এতে রাস্তায় বেড়েছে যানজট। পরিবহনগুলো পড়েছে লোকসানে। মানুষকে বেশি টাকা দিয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। তাছাড়া শহর জুড়ে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশারও ছড়াছড়ি।

তার ভাষ্য, “এগুলো বন্ধ করার দাবিতে ধর্মঘটের ডাকা হয়েছে।”

জেলা ট্রাক মালিক সমিতির চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন আহমদ বলছেন, অটোরিকশা বন্ধের পাশাপাশি জেলায় একটি স্থায়ী ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণের দাবি তাদের। ট্রাক স্ট্যান্ড না থাকায় তাদের রাস্তার উপরে গাড়ি রাখতে হয়। ট্রাক স্ট্যান্ডের দাবিতে ৩৬ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

তবে এ ধর্মঘট বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের চক্রান্ত বলছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান।

তিনি বলেন, “দেশের অন্য বিভাগেও বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। কিন্তু মানুষ এ গুলো তোয়াক্কা করেননি। সিলেটের সমাবেশেও ঐতিহাসিক সমাবেশে পরিণত হবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়তো বাঁধা দেয়া হবে, আটকানোর চেষ্টা করা হবে। কিন্তু হাজার হাজার সাধারণ মানুষে ভরপুর থাকবে সমাবেশস্থল। সিলেটের জনসমাবেশে গণজোয়ার বইবে।”

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, “ধর্মঘট দিয়ে লাভ হবে না। মৌলভীবাজার থেকে বহু নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আজই চলে যাচ্ছেন সিলেটে। মানুষ খেয়ে না থেয়ে সমাবেশ সফল করবে।”

এর আগে বিএনপির, ময়মনসিংহ, খুলনা, ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় গণসমাবেশের আগেও সেখানকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা বাস ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে দুদিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় গণসমাবেশমুখী নেতাকর্মীদের পাশাপাশি চাকরিজীবী, চাকরিপ্রার্থী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।