ফরিদপুরে আশ্রয়ণের জমির বিরোধে ‘মানববন্ধনে বাধা’, হামলায় আহত ইউএনও

আনসার সদস্যরা মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসীর হামলায় ইউএনওসহ কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন বলে পুলিশ জানায়।  

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2023, 04:30 PM
Updated : 4 May 2023, 04:30 PM

ফরিদপুরের মধুখালীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমির বিরোধে ‘মানববন্ধনে বাধা দেওয়ায়’ এলাকাবাসীর হামলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর জানান।

আহত ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাপতালে স্থনান্তর করা হয়েছে। বাকিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প করার জন্য একটি জমি দেখা হয়। জমিটি বর্তমানে বিএস রেকর্ডে সরকারি খাস হলেও এসআর রেকর্ডে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বিরোধ চলে আসছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার নারীরা ওই জমির মালিকানা দাবি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছিলেন। খবর পেয়ে আনসার সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান ইউএনও।

স্থানীয়দের ভাষ্য, আনসার সদস্যরা ওই নারীদের কাছ থেকে মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় নারীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। নারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গাছের ডাল ভেঙে আনসার সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে হামলা চালায়। এতে ইউএনও ও কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন।

এ সময় আনসার সদস্যরা শটগানের তিন/চারটি গুলি ছোড়ে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউএনওর গাড়ি ভাংচুর করে। পরে মধুখালী থানার পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কর বলেন, পুলিশের একটি টহল দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়; পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে আসেন।

ডুমাইন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান বলেন, “আমি একটি শালিসে ছিলাম। ইউএনও ওই এলাকায় এসেছেন তা আমার জানা ছিল না। পরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি।”

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, “ইউএনওর বাম চোখে আঘাত লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেলাই করে তাকে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাপতালে নিয়ে আসা হয়েছে।”

জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।