২০১৩ সালের ৩০ অগাস্ট দশম শ্রেণির ছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স নিখোঁজ হন। পরদিন স্থানীয় পুকুরে তার হাত-পা বাঁধা লাশ ভেসে উঠে।
Published : 14 Feb 2024, 04:52 PM
অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে ধরা পড়েছেন ১১ বছর ধরে পলাতক পিরোজপুরে স্কুল শিক্ষার্থী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মঙ্গলবার ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন মানিকদি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বুধবার দুপুরে জানিয়েছেন পিরোজপুর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার নাজমুল হাসান নাইম (৩০) পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী এলাকার শফিকুল আলম হাওলাদারের পুত্র। তিনি চাঞ্চল্যকর স্কুল শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব প্রিন্স হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শরীফুল জানান, ২০১৩ সালের ৩০ অগাস্ট পিরোজপুর শহরের আর্দশপাড়া এলাকার দশম শ্রেণির ছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার বাবা জাকির হেসেন সর্দার লিটন পিরোজপুর সদর থানায় জিডি করেন।
পরদিন শহরের সিআইপাড়া রায়ের পুকুরে প্রিন্সের হাত-পা বাঁধা লাশ ভেসে ওঠে। তখন তার বাবা আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচার শেষে ২০১৭ সালে বিচারক মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি নাফিজ হাসান নাহিদ ও তার বড় ভাই নাজমুল হাসান নাইমকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম আরও জানান, নাফিজ হাসান নাহিদ গ্রেপ্তার হলেও ঘটনার পর থেকেই আসামি নাজমুল হাসান নাইম পলাতক ছিলেন।
সম্প্রতি একটি প্রতারণার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইন্দুরকানী পুলিশ জানতে পারে আরমানই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নাইম। আরমান এবং শুভ নাম ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পলাতক অবস্থায় নিজের ও মায়ের নামে ১৯টি সিম ব্যবহার করতেন নাইম। এর মধ্যে একটি সিম থেকে তিনি দারাজ অনলাইনে পণ্য অর্ডার দিলে পুলিশ সেই ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং র্যাবের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুরানো খবর