“চাউলের দাম বাড়ছে কারণ ধানের দাম অনেক বাইড়া গেছে গা।”
Published : 17 Jan 2024, 08:46 PM
চলছে আমনের ভরা মৌসুম। চালের বাজারে প্রচুর মজুদও রয়েছে। অথচ শেরপুর বাজারের চিত্র তা বলছে না; ১০ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা।
শহরের নয়ানি বাজারের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুচরা ও পাইকারিতে প্রতি বস্তা চালের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। বাজারে ধানের দাম ‘বেশি হওয়ায়’ মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে তারা ‘বেশি দামে’ কিনে ‘সামান্য লাভে’ বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
নয়ানি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রঞ্জিত চালের বস্তা (৫০ কেজি) আগে বিক্রি হতো ২ হাজার ৪৮০ টাকায়; এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪৭ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা, রঞ্জিত চাল ৪৮ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৫০ টাকা। এ ছাড়া নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি আগে ৬৪ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ‘একটু বাড়তি’ জানিয়ে নয়ানি বাজারের চাল ব্যবসায়ী বুদ্ধদেব সাহা বলেন, “আগে মিল মালিকরা নতুন এক বস্তা চালের দাম ধরত ২ হাজার ৪০০ টাকা। এখন দাম ধরছে ২ হাজার ৪৮০ টাকা। ১০ দিনের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কেজিতে বেড়েছে। এ ছাড়া বিআর-২৮ ও বিআর-২৯ চালের বস্তা ১০০ টাকা করে বেড়েছে।
“মিল মালিকরা বলেন, ধানের দাম বেশি; এ কারণে চালের দাম বেশি। এ ক্ষেত্রে আমাদের করার তেমন কিছু নেই। অন্যান্য স্থানের তুলনায় শেরপুরের চালের দাম কমই রয়েছে।”
নয়ানি বাজারের শ্রমিক আমিনুল ইসলাম বলেন, “নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাইড়া গেছে। চালের দাম ৩-৪ টাকা কেজিতে বাড়তি। আমরা গরিব মানুষ; চলতে পারি না।”
চাল ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “চাউলের দাম বাড়ছে কারণ ধানের দাম অনেক বাইড়া গেছে গা।”
ব্যবসায়ী সুকুর আলী বলেন, “মিল মালিকের কাছে চাল কিনতে গেলে তারা কয় যে, ধানের দাম বেশি। তাই আমরাও বেশি রেটে কিনে একটু বেশি রেটে বেচতাছি।”
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রওশন বলেন, “ধানের দাম বাড়তি হওয়ার কারণে চালের দাম একটু বেড়েছে। তবে কয়েকদিন হল দাম কমতে শুরু করেছে।”