দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বনে যে ম্যাকাও পাখির বিচরণ, দেশে সেই পাখির প্রথমবারের মতো বাচ্চা ফোটানোর খবর দিয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
শ্রীপুরের এ পার্কের পাখিশালায় সপ্তাহ খানেক আগে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর কথা জেনেছে সেখানকার দায়িত্বরতরা।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক এবং সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ জানান, এর আগে দেশে ম্যাকাও পাখি থেকে কোথাও বাচ্চা জন্মেনি। বন বিভাগের পাখিবিদ শিবলী সাদিকও একই তথ্য দিয়েছেন।
রোববার বিকালে সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি বাক্সের ভেতর বসে আছে একটি ম্যাকাও ছানা; আর বাক্সের বাইরে বসে তীক্ষ্ম নজর রাখছে তাদের মা-বাবা।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, ম্যাকাওয়ের বিচরণ দেখা যায় আমাজনে। ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, বলিভিয়া, প্যারাগুয়ে, পেরুর বনাঞ্চলেও এদের দেখা যায়। খুব নিরিবিলি পরিবেশ পেলে এরা ডিম দেয়, বাচ্চা ফোটায়।
ম্যাকাও পাখি আবদ্ধ পরিবেশে বাঁচে ৩০ থেকে ৫০ বছর, আর প্রকৃতিতে বাঁচে ২০ থেকে ৩০ বছর। খাবার খায় ফলমূল ও বীজ জাতীয়; ওজন ১ থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা সাধারণত একসাথে ৩টি ডিম দেয়। ২৮ দিনের মতো তা দেয়ার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ১ থেকে ২টি বাচ্চার জন্ম হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান বলেন, “ভালো পরিবেশ পেলে ম্যাকাও বাচ্চা ফুটায়। তবে দেশে কোথাও এর আগে বাচ্চার জন্ম হয়েছে কি না জানা নেই।”
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতির সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, “দেশে প্রথমবারের মতো ম্যাকাও পাখির ছানার জন্ম হওয়ায় আমরা পার্ক সংশ্লিষ্টরা সবাই খুশি। ছানার প্রতি বিশেষ নজর রাখতে বলেছি। আমরা এই ঘটনার মধ্য দিয়ে উৎসাহিত হয়েছি।”