গ্যাস সংকট নিরসনসহ তিন দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলা পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম জানান, “বুধবার সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি।”
“পরিবহন শ্রমিকেরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সে বৈঠকে ধর্মঘটের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তাদের দাবিগুলো হলো- সিলেটের সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সংকট দূর করা। রাজনৈতিক বিভিন্ন মামলায় আটক শ্রমিকদের মুক্তি। ২০২১ সালের চৌহাট্টায় শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহার করা।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরীর মদিনা মাকের্ট, পাঠানটুলা, সুবিদবাজার, রিকাবীবাজার, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যদিনের তুলনায় সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কম। তবে লেগুনা, রিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মালামাল বহনকারী গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে। সিএনজি অটোরিকশা কম থাকায় মানুষজন পায়ে হেঁটেও চলাচল করছেন।
এছাড়া নগরীর কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। ফলে গাড়ি না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন টার্মিনালে আসা যাত্রীরা। মালপত্রসহ তারা বাস ছাড়ার অপেক্ষা করছিলেন।
সুবিদবাজারে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা আহমেদ মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বন্দরবাজার যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছেন। পাড়ার ভেতরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি।
তিনি বলেন, “তবে সুবিদবাজার এসে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছি। পরিবহন ধর্মঘট থাকার কারণে রাস্তাঘাটে গাড়ি একটু কম হওয়ার কারণে অপেক্ষায় আছি।”