এমপি হাবিবুর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় একক ঋণের পরিমাণ দিয়েছেন ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৭ টাকা।
Published : 05 Dec 2023, 09:59 PM
গত আড়াই বছরে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবেব ব্যাংক ঋণের পরিমাণ কমেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ সুরমা-বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০২১ সালের জুনে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিজয়ী হন হাবিবুর রহমান হাবিব।
সেই সময় হলফনামায় হাবিবুরের লিখেছিলেন, যৌথ মালিকানায় তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে। পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেডের নামে ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় অগ্রণী ব্যাংক থেকে নেওয়া একক ঋণের পরিমাণ দেওয়া হয়েছে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৭ টাকা।
এ বিষয়ে জানতে সন্ধ্যায় হাবিবুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় হাবিবুর রহমান হাবিবের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক ও পেশায় ব্যবসায়ী প্রবাসী পল্লী গ্রুপের ডিএমডি দেওয়া রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নেই কোনো মামলা।
বর্তমানে তার ব্যাংকে আমানত ৫৪ হাজার ২১১ টাকা, বছরে সম্মানী ভাতা পান ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমি অর্জনকালীন মূল্য ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৮ টাকা এবং একই খাতে স্ত্রীর নামে ২১ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৭ টাকার জমি উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১ সালের জুনে উপ-নির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কৃষি খাতে আয় দেখান এক লাখ ২৭ হাজার ৪৫০ টাকা।
অস্থাবরের মধ্যে তার নামে ছিল ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ২৪৯ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ছিল এক কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৭৮ টাকা।
এর মধ্যে নিজ নামে নগদ টাকা দেখিয়েছিলেন ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ৫ টাকা এবং স্ত্রীর নামে এক কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩০ টাকা।
নিজের নামে ব্যাংকে জমা ৫২ হাজার ২৪৪ এবং স্ত্রীর নামে ছিল ৯ হাজার ৪৪৮ টাকা। শেয়ার ছিল নিজ নামে ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আর আগে ২০২১ সালের উপ-নির্বাচনে হলফনামায় স্থাবর ২৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৮ টাকার সম্পদ দেখান। এ সম্পদে অকৃষি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৮ টাকার এবং পূর্বাচলে ৭ কাঠার একটি প্লটের দাম দেখানো হয়েছিল ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামায় নিজের শেয়ার/সঞ্চয়পত্রে ৫৪ হাজার ২১১ টাকা এবং সম্মানী ভাতা ৪৪ লাখ ২ হাজার টাকা দেখালেও নগদ কোনো অর্থ দেখাননি হাবিব।
বিগত উপ-নির্বাচনে স্ত্রীর নামে কোটি টাকা দেখালেও এবার তা দেখাননি। স্থাবরের মধ্যে অকৃষি জমি নিজের ও স্ত্রীর নামে কম দেখিয়েছেন।
২০২১ সালের উপ-নির্বাচনের হাবিবুর রহমান বার্ষিক কোনো আয় দেখাননি।