ভোট চাইতে গিয়ে তোপের মুখে জাপার এমপি রানা

রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, “যেভাবে তারা আশা করেছিলেন, সেভাবে আমি যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি নাই।”

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সংসদ সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল ভোটারদের তোপের মুখে পড়েছেন।

সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ও বালাগ্রাম ইউনিয়নে জনসংযোগ করার সময় তোপের মুখে পড়েন সংসদ সদস্য।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

আওয়ামী লীগ যে ২৬টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের বসিয়ে দিয়েছে তার মধ্যে এটিও রয়েছে। যদিও এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ও পরে বসে যাওয়া সাবেক সংদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মাজিয়া সুলতানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।

এ ছাড়া এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাপা নেতা কাজী ফারুক কাদের। আওয়ামী লীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন পাভেলও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।

২০১৮ সালে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য হন রানা মোহাম্মদ সোহেল। ভোটারদের অভিযোগ, নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে আর সেভাবে এলাকায় পাওয়া যায়নি।

সোমবার সমর্থকদের নিয়ে সংসদ সদস্য রানা ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে গেলে সেই অভিযোগের মুখে পড়তে হয় তাকে। এ সময় জাতীয় পার্টির সমর্থকদের সঙ্গে ভোটারদের বিতণ্ডাও হয়।

১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ করার সময় ভোটাররা রানা মোহাম্মদ সোহেলের কাছে জানতে চান, তিনি বিগত পাঁচ বছরে এলাকার কী উন্নয়ন করেছেন, কতটা খবর রেখেছেন। আবারও কেন তাকে ভোট দেওয়া হবে?

একজনকে বলতে শোনা যায়, “এই যে উনি ভোটটা নিয়ে গেলেন, গেলেনই।”

তখন লাঙ্গলের এক সমর্থককে পাশ থেকে বলতে শোনা যায়, “ভাই উন্নয়ন হয় নাই?”

তখন ওই ব্যক্তি বলেন, “কোনটা উন্নয়ন হইছে।”

এরপর কয়েকজন সংসদ সদস্যের মোবাইল কেন সবসময় বন্ধ থাকে সেই প্রশ্নও তুলেন।

এমন নানা প্রশ্নের জবাবে রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, “আমি দুর্নীতি যেহেতু করি নাই, টেন্ডারবাজি করি নাই, মামলাবাজি করি নাই, পয়সা নেই নাই। একটা ছুটে গেছে, যোগাযোগ রাখি নাই। সেটা কাভার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।”

পরে বিকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রানা মোহাম্মদ সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, “যেভাবে তারা আশা করেছিলেন, সেভাবে আমি যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি নাই। এ কারণে তাদের মান- অভিমান থেকে তারা আমাকে এসব প্রশ্ন করেছেন। আমি বলেছি, আগামীতে তা পূরণ করে দেব।”