তাদের মধ্যে মনির ও আনোয়ার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আর চারজন পলাতক রয়েছেন।
Published : 10 Feb 2024, 08:35 AM
কুষ্টিয়া সদরে ডাকাতির মামলায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেনসহ নয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) রফিকুল ইসলাম লালন জানান।
দণ্ড পাওয়ারা হলেন- সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক চৌড়হাস এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন (৪৬), একই এলাকার উল্লাস (৪০), তৈমুর ইসলাম ওরফে বিপুল (৩৯), রফিকুল ইসলাম, মনির হোসেন ওরফে পিচ্ছি মনির, সাগর ওরফে জাহাঙ্গীর, আনার ওরফে আনোয়ার, মধু শিকদার এবং সাত্তার ওরফে মশিউর রহমান।
তাদের মধ্যে মনির ও আনোয়ার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আর চারজন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সুমন, রবিউল ইসলাম, ছলেমান ওরফে রানা এবং সোহেল রানা।
মামলার বরাতে পিপি রফিকুল বলেন, ২০০৯ সালের ২১ জুলাই রাতে সদর উপজেলার মতিমিয়ার রেলগেট এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সে সময় ডাকাত দল বাড়ির সকল সদস্যকে বেঁধে মারধর করে লকার থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পরদিন বেগম ফরিদা ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি সদর থানায় করে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া সদর থানার তৎকালীন এসআই হারাধন কুণ্ডু ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে নয়জনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়; যা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস কারাবাসে থাকতে হবে বলে জানান পিপি রফিকুল।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার কারাদণ্ডের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী মোবাইল ফোনে বলেন, “ডাকাতির মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার সাজার কথা শুনেছি। সাংগঠনিকভাবে এই রায়কে মোকাবিলা করতে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।”
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]