উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অনলাইন ব্যতীত মনোনয়ন দাখিল করা যাবে না বলে জানান রাশেদা সুলতানা।
Published : 02 Apr 2024, 07:27 PM
জাতীয় নির্বাচনে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে, তা আর নিচে নামতে দিতে চান না বরং আরও উপরে ওঠাতে চান বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ নির্বাচন করার কথা জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সবগুলো অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।
নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে ইসি বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একা করা সম্ভব না। নির্বাচনকে সফল করতে সকল বাহিনীকে একসঙ্গে এক ধারায় নিয়ে যাওয়াটাই এখন কমিশনের প্রধান কাজ।
“যাতে কাজগুলো তারা সুষ্ঠুভাবে করতে পারেন। সমন্বয় ছাড়া কখনো এ রকম মহাযোগ্য করা সম্ভব নয়।”
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা নির্বাচন একসঙ্গে না হলেও ধাপে ধাপে হবে; তবে সেটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন দেশের ও দেশ গঠনের জন্য একটি অসম্ভব জরুরি বিষয়।
কমিশন একটা অবাধ সুন্দর ও সুষ্ঠু উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে বেশকিছু পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে ইসি বলেন, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়ন দাখিল করা যাবে না।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের জন্য অপেক্ষা না করে আগেভাগেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রার্থীদের অনুরোধ জানান রাশেদা সুলতানা।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে এতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম ধাপে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ২৪টি উপজেলা এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৯টি উপজেলা, তৃতীয় ধাপে ১৪টি উপজেলা এবং চতুর্থ ধাপে ৯টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৮ মে রাজশাহী জেলার দুটি উপজেলা গোদাগাড়ী ও তানোর এবং দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।