এমপি-পুত্র রাকিবুজ্জামান বলেন, “উনার আবেদনের কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার মনোনয়নপত্র কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত করেছিলেন।”
Published : 23 Apr 2024, 11:31 PM
হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাকিবুজ্জামান আহমেদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী।
সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তার আপন চাচা ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ।
তিনিই মঙ্গলবার জেলা শহরের নর্থ কিং রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে রাকিবুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন রাখার অভিযোগ এনে প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহাবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, “বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার বড় ভাই নুরুজ্জামান আহমেদ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। আমি তার বিপক্ষে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকের পক্ষে কাজ করি।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দুটিই আমাদের। আপনারা যাকে ভালো লাগে, তার পক্ষ হয়ে কাজ করেন। আমি সেটি করেছি। তারা (নুরুজ্জামানের পরিবার) চায় না, আমি কখনোই ভালো থাকি। এজন্যই সব সময় তারা আমার পিছে লেগেই আছে।”
স্বতন্ত্র প্রার্থীর মঞ্চে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ‘গীবত করলেন’ তার ভাই
মাহাবুবুজ্জামান বলেন, “জাতীয় নির্বাচনে নুরুজ্জামান আহমেদ তার হলফনামায় পুত্রের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। আর উপজেলা নির্বাচনে তার পুত্র প্রার্থী হওয়ায়, সেও সম্পদের তথ্য গোপন করে হলফনামা জমা দিয়েছেন।
“এ বিষয়ে যদি রিটার্নিং কর্মকর্তারা পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন। তাহলে আমি দুদকের কাছে আবেদন করব”, বলেন মাহাবুবুজ্জামান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, “উনার আবেদনের কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা আমার প্রার্থিতা বেশ কিছুক্ষণ আটকে রেখেছিলেন। পরবর্তীতে তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। কিন্তু আমি আমার বৈধ কাগজপত্র দেখিয়েছি।
“কমিশন থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এখন কে কী বলল, তাতে আমার কিছু আসে যায় না”, বলেন এমপি-পুত্র রাকিবুজ্জামান।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কালীগঞ্জে দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ করা হবে।