প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
Published : 28 Jul 2022, 12:12 AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকজনের হয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসের এক ছাত্রলীগ নেতা জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ভিডিওতে আটকদের একজন জিজ্ঞাসাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় জড়িত বলে দাবি করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিটের গ্রুপ-২ এর ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা চার জন এবং একজন পরীক্ষার্থী আটক হয়েছেন। এই পাঁচ জনকে সাজা দিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ছড়িয়ে পড়া জিজ্ঞাসাবাদের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকের নাম বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ খান। ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকও একই বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী।
জিজ্ঞাসাবাদে বায়েজিদ খান বলেন, একই বিভাগের তার বন্ধু ও রাবির ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময় তাকে প্রক্সির কাজ দিয়েছেন। তিনি প্রক্সি দিতে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। প্রক্সি দেওয়ার আগে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন তন্ময়ের কাছে জমা রেখেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রক্সি জালিয়াতিতে ধরা পড়া বায়েজিদ একেক সময় একেক নাম বলেছেন। একাধিক নাম এসেছে। সেখানে মুশফিক তাহমিদের নামও বলেছেন। এটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখবে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা অভিযোগ করেন, অনেক আগে থেকেই মুশফিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিকবার ফোন করেও মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ সময় তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তার হলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, “এ বিষয়টি আমরা গতকাল শুনেছি। খুব দ্রুতই আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় প্রমাণসাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “আইন সব সময় আইনের গতিতেই চলবে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেনো অপরাধ প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিশ্ববিদ্যালেয় প্রশাসন এবং গোয়ান্দা সংস্থা সর্বদা তৎপর রয়েছে। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত প্রমাণ সাপেক্ষ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারব।”