লাঠি দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব নয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

বিএনপির লাঠি মিছিল সম্পর্কে এ কথা বলেন এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য লাঠি নিয়ে রাজপথে বিএনপির আন্দোলন দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, “এতে আমরা লজ্জা পাই, ব্যাথিত হই। লাঠি দিয়ে মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য কমানো সম্ভব নয়। লাঠি নিয়ে রাস্তায় নামা, ভালো কোনো উদাহরণ না।”

“আগে এক গ্রাম আরেক গ্রামের লোককে লাঠি দিয়ে মারতো। সেটাকে ‘ডাকের মাইর’ বলা হতো। সেসব এখন অতীত। অথচ রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা এখন সেগুলো করছি।”

বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এর আগে ‘শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন এম এ মান্নান। সভায় জার্মান প্রবাসী লেখক সরাফ উদ্দিন আহমদের ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড: প্রবাসে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার দুঃসহ জীবন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও শহীদ জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সেখানে বৃক্ষরোপণ করেন।

সভায় এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই সঠিক অবস্থানে রয়েছে দেশ। গত ১৫ বছর স্থিতিশীলতার কারণে দেশের মানুষ যে উপকার পেয়েছে তা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে, যদি আমরা শৃঙ্খলা প্রদর্শন করি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন। তিনি হচ্ছেন দেশের তথ্যের আকর। তার জ্ঞান ও আকাঙ্ক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তাই শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ সমার্থক। তিনি সংকট সামাল দেন দৃঢ়তার সাথে, হতাশাকে ঢেকে দেন আশার আলোয়।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, রোল মডেল খুঁজতে আমাদের বিশ্বের দিকে তাকানোর প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকান। সময়ানুবর্তিতার উদাহরণ হিসেবে আমরা বিভিন্ন দেশকে দেখি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়ানুবর্তিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত যা আমাদের নবীন প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্বে পাহাড়ে অরাজকতা বন্ধ হয়েছে। পাহাড়িরা আজ দেশের অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। সেখানে আজ বিভিন্ন উৎপাদনমূলক কাজ হচ্ছে যা জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।