মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ করা ভাঙা স্থাপনার নিচে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার ধলেশ্বরী তীরে বিআইডব্লিটিএর অভিযানের পর বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ করা একটি ঘরের টিনের চাল সরাতেই মরদেহটি বেরিয়ে আসে বলে জানান সদর থানার ওসি তারিকউজ্জামান।
নিহত শ্রমিকের নাম মো. সিরাজুল ইসলাম (৬৫)। সদর উপজেলার সরদারপাড়া এলাকার এই বাসিন্দা চলতি মাসেই মা ভাণ্ডার রাইস মিলে কাজ নিয়েছিলেন।
ওসি বলেন, “এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যার পর মরদেহ গুম করা হয়েছে তা উদঘাটনে তিনটি সংস্থা কাজ শুরু করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে প্রকৃত বিষয়টি বোঝা যাবে।”
নিহতের ছেলে ফজলুর রহমান বেপারী জানান, দুইদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ ছিল। তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন তিনি।
এ বিষয়ে মা ভাণ্ডার রাইস মিলের মালিক বিশ্বজিৎ বণিক বলছেন, উচ্ছেদ চলাকালে পরিস্থিতি দেখার জন্য সিরাজুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
তবে অভিযান চলাকালে কেউ আহত হননি বলে দাবি করেন বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, “উচ্ছেদ অভিযান শেষ হয়েছে দুই দিন আগে। যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নদীর তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় কেউ আহত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি।”
কীভাবে ওই শ্রমিকের মরদেহ উচ্ছেদ করা ভবনের টিনের চালের নিচে গেল তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।