পুলিশের ওপর হামলা: গাজীপুরে বিএনপির ৮ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

“পুলিশ লাঠিপেটা করেছে আবার পুলিশই বাদী হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আসামি করেছে।“

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Dec 2022, 04:15 PM
Updated : 25 Dec 2022, 04:15 PM

গাজীপুরে গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় বিএনপির আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ওসি মো. জিয়াউল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে এসআই মো. সাইয়েদুর রহমান খান বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও অনেককে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর সদর থানার রথখোলা এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে কাজী বাবু ওরফে টাইগার বাবু (৩২), সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণছাড়া গ্রামের কামাল শেখের ছেলে রাসেল বাবু (২৯), গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩০), টঙ্গীর আরিচপুর এলকার জাকির মোল্লার ছেলে জাফর মোল্লা (২১), গাজীপুর বাসন থানার ইসলামপুর এলাকার আশরাফুজ্জামানের ছেলে মো. হাতিম (২০), টাঙ্গাইল সদরের নেঙ্গুরিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. সোহান (২১), পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর গ্রামের সিদ্দিক হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (২০), গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি কুদ্দুসনগর গ্রামের আজাদ হোসেনের ছেলে হাসিব পিয়াল (২০)।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিএনপির নেতাকর্মীরা ভাওয়াল রাজবাড়ী সড়কে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে তারা মিছিল বের করেন। এ সময় তারা যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। পুলিশ বাধা দিলে নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

মিছিলকারীরা পুলিশের ভাড়া করা লেগুনা ভাঙচুর করে এবং ওই গাড়ির চালকের ওপর হামলা চালায়। এতে সদর থানার কনস্টেবল মিন্টু ও নায়েক মো. জহির উদ্দিন আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও দুটি কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে মামলা অভিযোগ করা হয়।

হামলার সময় ২০ জনকে আটক করা হয়েছিল উল্লেখ করে সদর থানার এসআই আরিফ হোসেন বলেন, তাদের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে আটজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকিরা অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বাবা-মার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণমিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দেয় এবং বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়।  

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম বলেন, “পুলিশ লাঠিপেটা করেছে আবার পুলিশই বাদী হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আসামি করেছে। এর নিন্দা জানাই।”