“এক পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলে পুলিশসহ প্রশাসনের সবার জন্যই ভালো হত। আমরা বাড়তি চাপ থেকে মুক্ত থাকতাম।”
Published : 06 Feb 2024, 05:41 PM
প্রথম পর্বের মত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও একই নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা একই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা কোনো পরিবর্তন করিনি। কারণ যে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম তাতে প্রথম পর্বের ইজতেমা অত্যন্ত সুচারুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।”
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের পাশে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “গোয়েন্দা তৎপরতা থেকে শুরু করে ক্যামেরা সার্ভিলেন্স ও ড্রোন সার্ভিলেন্স, পুলিশ-র্যাবের কার্যক্রমসহ সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা একই থাকবে, কোনো রকম পরিবর্তন হবে না। “
জিএমপি কমিশনার বলেন, “দুপুরে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিসহ দুই পর্বের মুরুব্বীদের সঙ্গে ইজতেমা ময়দান হ্যান্ডওভার ও টেকওভার করতে আলোচনা হয়েছে। এ সময় ছোটখাটো কিছু আপত্তির দেখা দিলে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে।
“দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শেষে তারা আবার শান্তিপূর্ণভাবে প্রশাসনের কাছে টেকওভার করবে। শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ইজতেমা ময়দান হ্যান্ডওভার ও টেকওভার কার্যটি সম্পন্ন হয় সে জন্য উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছেন।“
তিনি বলেন, “ইজতেমা ময়দানে উপরে টানানো শামিয়ানা ও নিচে ব্যবহৃত চাটাই প্রথম পক্ষের আগতরা রেখে যাবেন যাতে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় আগতদের জন্য ময়দান প্রস্তুতির কাজ অল্প সময় এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়।
“আইনশৃঙ্খলার যাতে নষ্ট না হয়, শান্তিপূর্ণভাবে যাতে ইজতেমা ময়দান হ্যান্ডওভার-টেকওভার করতে পারে এবং দ্বিতীয় ইজতেমা শুরু হয় তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি ।”
কমিশনার বলেন, “এক পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলে পুলিশসহ প্রশাসনের সবার জন্যই ভালো হত। আমরা বাড়তি চাপ থেকে মুক্ত থাকতাম। আমি আশা করছি তাবলিগ জামাতের এ বিভক্তি এক সময় ঠিক হয়ে যাবে।
ইজতেমা শেষে আগতদের ফিরতি পথে যাত্রা যাতে নির্বিঘ্ন এবং সহজ ও সুগম হয় তার জন্য ট্রাফিক বিভাগ সর্বাত্মক সহায়তা করবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় জিএমপি উপ কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান ও মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।