কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় যৌতুকের কারণে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ এ রায় প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি এম এ আফজল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন মিয়া সদর উপজেলার দানাপাটুলি ইউনিয়নের গাগলাইল গ্রামের মৃত মতি মিয়ার পুত্র। মামলা চলাকালে তিনি পলাতক ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার তারাপাশা এলাকায় গৃহবধু নন্দিনীকে (২০) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। নন্দিনী ওই এলাকার মিনার আলম খানের মেয়ে।
মামলার এজাহারের সূত্রে পিপি আফজল জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে নন্দিনীর সঙ্গে মামুন মিয়ার গোপনে বিয়ে হয়। এই দম্পতির একটি মেয়েও আছে।
বিয়ের পর থেকেই মামুন যৌতুকের জন্য নন্দিনীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন।
২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল দুপুরে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তারাপাশা এলাকার ভাড়া বাসায় নির্যাতনের এক পর্যায়ে নন্দিনীর শরীরে তরল দাহ্য পদার্থ ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান মামুন।
আশংকাজনক অবস্থায় নন্দিনীকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন চিকিৎসার পর ২৫ এপ্রিল ঢাকায় নন্দিনীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মিনার আলম খান বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্বামী মামুন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই ফজলুল হক ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট এটিএম আমান রাষ্ট্র মনোনীত আইনজীবী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।