“অতীতে বিএনপি-জামায়াত এখানে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তাই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বস্তি দেওয়ার জন্য আমরা অবস্থান নিয়েছি।”
Published : 15 Nov 2023, 05:13 PM
ফেনী জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শহরের ইসলামপুর রোডের কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার রাত থেকে তারা পালাক্রমে অবস্থান করছেন।
বুধবার দুপুরে দেখা যায়, কার্যালয়টিতে তালা ঝুলছে। এর সামনে ফেনী পৌর যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
এদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, বিএনপি অধ্যুষিত রামপুর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী অংশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। কারও কারও হাতে লাঠিও আছে। মহাসড়কে নেতাকর্মীরা দলবেঁধে মোটরসাইকেলে ঘোরাফেরা করছেন।
শহরের মডেল হাইস্কুল এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, “মঙ্গলবার রাত থেকে ওই এলাকায় অপরিচিত যুবকরা লাঠি হাতে গলির মুখগুলোতে দাঁড়িয়ে আছেন।”
মহাসড়কের মহিপাল এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, “বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখছি বিভিন্ন গলিতে অপরিচিত যুবকরা লাঠিসোঁটা হাতে অবস্থান করছে। বেশিরভাগের বয়স ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।”
তবে ফেনী পৌর যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “ইসলামপুর সড়কে বিএনপির কার্যালয় আছে বলে আমাদের জানা নেই। এই সড়কটি ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। অতীতে বিএনপি-জামায়াত এখানে অগ্নি-সন্ত্রাস করেছে। তাই মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বস্তি দেওয়ার জন্য ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্দেশে আমরা এখানে অবস্থান করছি।”
ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, “ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মোহাম্মদ আলী থেকে ফাজিলপুর অংশে ২৭ কিলোমিটার এলাকায় ১৫টি স্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ দেড় হাজার নেতাকর্মী পালাক্রমে অবস্থান করছে।
“মহাসড়কে নাশকতা এড়াতে ও জানমালের নিরাপত্তায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত নেতাকর্মীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।”
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, “ফেনীর পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীনদের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসিয়েছেন। রাত থেকে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছেন। তারা আমাদের সঙ্গে কোনোভাবে একটি ঝামেলা করে গৃহযুদ্ধ লাগাতে চায়।
তিনি আরও বলেন, “২০ দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০টি মামলা করা হয়েছে। মামলা-হামলা গ্রেপ্তার করে প্রহসনের নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।”
ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) জাকির হাসান বলেন, “অবরোধে নাশকতা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
শহরে, মহাসড়কে নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, এমন কোনো তথ্য তার জানা নেই।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের অবস্থানের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।