“সবসময় নির্বাচনে ছেড়ে না দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সরকারকে হয়তো টেক্কা দিতে পারবো না, কিন্তু ছাড় দেবো না।”
Published : 18 Dec 2023, 07:45 PM
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে যাওয়াকে জাতীয় পার্টির ‘রং-ঢং’ বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।
সোমবার সকালে দলীয় প্রতীক ‘সোনালী আঁশ’ বরাদ্দ পাওয়ার পর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলের মহাসচিব।
রূপগঞ্জের রূপসী এলাকায় তৈমুর আলমের পৈতৃক বাড়ি। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ওই এলাকার বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৈমুর আলম বিএনপি থেকে ওই এলাকায় নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন।
অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদে ছিলেন। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুটি পদই হারান তিনি।
সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অন্তরা হুদা দলের হাল ধরেন। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বরে দলটির কাউন্সিলে তৈমুর আলম খন্দকার মহাসচিব হন। দলটি তখন ৩০০ আসনেই নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ‘নিজস্ব বাহিনী’ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: তৈমুর
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর বলেছেন, “আমি মনে করি, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় নাই। কিন্তু নির্বাচনের পর সরকার গঠনও ঠেকানো যায় নাই। বিতর্কিত নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারকেই আন্তর্জাতিক বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে এবং চুক্তি করেছে।
“সবসময় নির্বাচনে একেবারে ছেড়ে না দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই প্রতিরোধ একদিন পাহাড় হয়ে দাঁড়াবে। সরকারকে হয়তো টেক্কা দিতে পারব না কিন্তু ছাড় দেব না।”
বিএনপির সাবেক এ নেতা বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তার দল তৃণমূল বিএনপিকে ‘প্রধান বিরোধী দল’ বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশে একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি। জাতীয় পার্টি অনেক রঙ-ঢংয়ের পর ক্ষমতাসীন দলের অনুকম্পা নিয়ে নির্বাচন করছে। ১৪ দল তো আগেই সরকারের শরিক।
“সুতরাং একমাত্র বিরোধী দল তৃণমূল বিএনপি, যে দল বাংলাদেশে ১৪২ জন প্রার্থী নিয়ে বিভিন্ন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।”
জনগণ ‘শক্তিশালী বিরোধী দল’ হিসেবে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীদের ভোট দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তৈমুর।
ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “নির্বাচনের দিন ঘরে আরাম-আয়েশে না থেকে ভোটকেন্দ্রে আসেন। ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। যেখানে ব্যত্যয় ঘটবে সেখানে ভিডিও করবেন, ছবি তুলবেন, আমরা এইটা সোশাল মিডিয়াতে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে এবং সারাবিশ্বে পৌঁছে দেব।”
“এইবারও যদি ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত লুটপাটের নির্বাচন হয় এবং ‘এমপি বাহিনী’ যদি এইবারও লুটপাট করে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারবেন কী পারবেন না, তা জনগণই বলবে।”