তার বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী।
Published : 15 Apr 2024, 07:57 PM
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছে শহর আওয়ামী লীগ।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, “ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাওয়া যায়নি।”
গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এজন্য দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।
গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির ভাই।
দলীয় সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং এ কারণে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগণ দলের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করছে।
“এমতাবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং চূড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য আপনার নিকট সুপারিশ করা হলো।”
বড় মনির বিরুদ্ধে গত বছর এপ্রিলে এক নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি অভিযোগ করেন যে, ধর্ষণের ফলে তিনি গর্ভবতী। পরে ওই নারী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। আদালতের নির্দেশে ওই সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়।
এতে বলা হয়, ওই সন্তানের জৈবিক পিতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি নন।
এর কয়েক মাস পর ওই নারী আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে ওই নারীর বড় বোন তার ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ পাল নামক এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এর পরই বড় মনির বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন আরেক ছাত্রী। তিনি অভিযোগে বলেন, তাকে প্রিয়াংকা সিটিতে বড় মনির ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয়।
এ ব্যাপারে গোলাম কিবরিয়া বড় মনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার এবং তাদের পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নু এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য তার বিরুদ্ধে এই ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: