সাত কার্যদিবসে সূচক কমেছে ১৭৯ পয়েন্ট।
Published : 22 Apr 2025, 04:41 PM
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকে গত ১০ এপ্রিলের পর যে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত আছে।
টানা সাত দিনের পতনে মঙ্গলবার প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৬ পয়েন্টে। আগের দিন ছিল ৫ হাজার ৪৪ পয়েন্ট।
এ নিয়ে শেষ সাত কার্যদিবসে সূচক কমল ১৭৯ পয়েন্ট।
এদিন সকালে লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পরই সূচক কমতে থাকে। বিক্রির চাপ বাড়ায় শেষ বেলাতেও পতন ঘটে সূচকের। হাতবদল হয় ৩৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার।
ঈদুল ফিতরের আগে মার্চ মাসের প্রায় পুরোটাই মিশ্র ধারায় লেনদেন করে ডিএসই। এপ্রিলে সেই ধারা কেটে যাওয়ার আশা করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন চলাকালে তিন দিন সূচকের সঙ্গে বেড়েছিল লেনদেনের পরিমাণও। সম্মেলন শেষ হতেই সূচক ও লেনদেনে পতন শুরু হয়।
ডিএসইতে সবশেষ সূচক বাড়ে গত ১০ এপ্রিল। সেদিন সূচক ছিল ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্ট। সেদিন শেয়ার হাতবদল হয় ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকার।
এরপর লেনদেন কমে সবশেষ গত ১৫ এপ্রিল ৪৪৫ কোটি টাকায় নামে। গত চার দিনে তা নেমে যায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ঘরে। সূচকেও পতন ঘটে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বেশির ভাগ কোম্পানিই দর হারিয়েছে। ৪০১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির; কমে ২১৪টির; আর অপরিবর্তিত থাকে ৬৮টির।
এদিন বেশি লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে। এরপর ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। তৃতীয় স্থানে উঠে আসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত।
দিন শেষে সবচেয়ে বেশি দর বাড়ার তালিকায় আছে এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড।
সবচেয়ে বেশি দর হারায় বিচ হ্যাচারি, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ও নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার।