ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনি কারাগারে

উচ্চ আদালতে জামিন পেলেও পরবর্তীতে চেম্বার আদালত তাদের জামিন স্থগিত করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়।

ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

টাঙ্গাইলে ধর্ষণ মামলায় শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাহমুদুল মহসীন এ আদেশ দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি (পিপি) এস আকবর খান জানান।

তবে ধর্ষণ মামলার আরেক আসামি বড় মনির স্ত্রী নিগার আফতাব আদালতে আত্মসম্পর্ণ করেননি। গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই।

পিপি আকবর জানান, সকালে কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বড় মনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও পরবর্তীতে চেম্বার আদালত তাদের জামিন স্থগিত করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন বলে জানান পিপি।

আইনজীবী আরও জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ এপ্রিল রাতে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। ধর্ষণে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলায় বড় মনির স্ত্রী নিগারকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা মেডিকেল বোর্ড এমন প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান পিপি আকবর।

মামলায় ওই কিশোরী অভিযোগ করেছেন, বড় মনি তাদের আত্মীয় এবং পূর্ব পরিচিত। মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে তাদের কথা হত।

আরও পড়ুন:

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা কিশোরীর